মোঃ বেলায়েত হোসেন
কালমেঘা, সখিপুর
টাঙ্গাইল
সখিপুর উপজেলার একজন সফল মৎস্য চাষী। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৩ বৎসর প্রবাস জীবন অতিবাহিত করেন। দেশে ফিরে তিনি নিজে কিছু করার পাশাপাশি এলাকার তরুণ বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির সাথে আলোচনার পর তিনি মাছ চাষ করার বিষয়ে মনস্থির করেন। এ সময় তিনি উপজেলা মৎস্য দপ্তর হতে প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে মৎস্য বিভাগের পরামর্শক্রমে তিনি প্রায় ২০০ শতাংশের একটি পুকুর লিজ নিয়ে পাঙ্গাস এবং তেলাপিয়া মাছ চাষ শুরু করেন। যথাযথ খাদ্য প্রয়োগ এবং পানির গুণাগুণ অক্ষুন্ন রাখার মাধ্যমে প্রায় ০৭ মাস পরিচর্যার পর তিনি আশাব্যঞ্জক ফলাফল লক্ষ্য করেন। পরবর্তী চাষ মৌসুমে তিনি একসাথে ০৩ টি পুকুর লিজ নিয়ে একইভাবে পাঙ্গাস এবং তেলাপিয়া মাছ চাষ করেন। এবছর তিনি প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা নীট লাভ করেন। তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে পুকুর লিজ গ্রহণ এবং মাছ চাষ করে তিনি এখন সাবলম্বী। সখিপুর উপজেলায় বর্তমানে তিনি ০৮ পুকুর এবং গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় আরও ০৬ টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে যাচ্ছেন। তাঁর খামারে বর্তমানে ১২ জন বেকার যুবকের নিয়মিত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মৎস্য ও মৎস্য খাদ্য পরিবহন, জাল টানা সহ অন্যান্য কাজে প্রায় ৩০ জন অনিয়মিত শ্রমিকের জীবনমানে এসেছে পরিবর্তন। বর্তমানে তাঁকে কেন্দ্র করেই চলছে ঐ এলাকার মৎস্যচাষ। তাঁর এই সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রায় ০৮ জন বেকার তরুণ মাছ চাষ শুরু করে সাবলম্বী হয়েছে।
মোঃ বেলায়েত হোসেন ২০২০-২১ আর্থিক সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষীর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কারের জন্য তাঁকে সখিপুর উপজেলা থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হলে টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক, সাংবাদিকবৃন্দ তাঁর খামার পরিদর্মন করেন এবং তাঁর এ উদ্যেগের ভূয়সী প্রশংসা এবং উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস